আজকে জানবো, বাংলাদেশে কোন কোন গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায়। যেহেতু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বলছি।
সেহেতু যেসকল সাম্প্রতিক ট্রেন্ডিং গেম আছে, সেগুলো কে উল্লেখ করব। এবং এগুলোর মাধ্যমে কিভাবে উপার্জন করা যাবে? তাও বলবো
সবচেয়ে কম সময়ে বেশি টাকা কোন গেম খেলে ইনকাম করা যায় ?
এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো, কোন গেম খেলেই কম সময় বেশি ইনকাম করা যায় না।
তবে কিছু বিখ্যাত গেম আছে, যেগুলো থেকে প্রতিনিয়ত অনেক বেশি টাকা উপার্জন হচ্ছে। আমি এটাই আজকের ব্লগে তুলে ধরব।
সবচেয়ে কম সময়ে বেশি টাকা কোন গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায়?
গেমগুলোর মধ্যে আছে, পাবজি, এপেক্স লিজেন্ড, এরিনা অফ ব্যালর, ফ্রী ফায়ার, মোবাইল লিজেন্ডস ইত্যাদি।
এ সমস্ত গেমে সব সময় কনটেস্ট চালু থাকে। দৈনিক কোথাও না কোথাও ঠিকই কন্টেস্ট চালু রয়েছে।
সঠিক বলতে গেলে, সবচেয়ে কম সময়ে বেশি টাকা ইনকাম করা যায় পিসি গেম গুলোতে। কারণ সেখানে ইউজারের সংখ্যা বেশি। প্রফেশনাল গেমারের সংখ্যা বেশি।
যার কারণে তাদের তৈরি করা টুর্নামেন্ট বা স্থানীয় কোন কম্পিটিশন কনটেস্ট এর পার্টিসিপেন্ট ও প্রাইজমানিও পরিমাণে বেশি থাকে।
১। পাবজি। এ কোন গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায়
pubg গেম খেলে বাংলাদেশি ইউজাররা সবচেয়ে বেশি ইনকাম করে। গেম খেলার প্রসঙ্গ তুললে আমি বলব, pubg থেকে বেশি উপার্জন হয়।
তার কারণ pubg এর মেইন কন্টেস্ট গুলোতে ৬ মিলিয়ন ডলার অবধি প্রাইজ মানি থাকে। আর বাংলাদেশের স্থানীয় বা লোকাল লেভেলের টুর্নামেন্ট গুলো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গেমিং ক্লাবে এরেঞ্জ হয়।
কোন গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায় learn and teach !
সেখান থেকে বড় বড় টুর্নামেন্টের প্রাইস মানি বিপুল পরিমাণ ঠিক করা থাকে।আর পাবজি খেলোয়াড়রা এমনিতেই স্থানীয় টুর্নামেন্টের মাধ্যমে ইনকাম করে।
পাবজি গেমের ইউসি এর দাম যথেস্ট বেশি। এ ইউসি সেলের ব্যবসা করেও বিপুল আয় হয়, যারা ব্যবসায়ী তাদের ক্ষেত্রে।
আকাশছোঁয়া প্রাইজ মানি পাচ্ছেন : ধুমায়ে উপার্জন
- আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা: জেনে অবাক হইবেন , এখানে মূল কন্টেস্টগুলোতে মিলিয়ন ডলারের প্রাইজ মানি থাকে। (যেমন, পাবাজি এর মতো টুর্নামেন্টগুলোতে প্রাইজ পুল ৬ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা অবধি হতে পারে)।
- বাংলাদেশের সাফল্য: সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, বাংলাদেশের দলগুলো কিন্তু সেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে পৌঁছে তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করছে। এবং বিশাল অঙ্কের অর্থ উপার্জন করছে।
- উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের একটি দল নেপাল থেকে টুর্নামেন্ট খেলে এসেছে।
- যেখানে প্রাইজ পুল ছিল ২ লক্ষ ডলার (প্রায় ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা)! কোন গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায়
- এই জয় শুধু খেতাবই নয়, বাংলাদেশি প্লেয়ারদের জন্য ‘ই-স্পোর্টস ক্যারিয়ার’ এর পথ খুলে দিচ্ছে।
স্থানীয় টুর্নামেন্টে যায় হবে সেই !
- বিশ্ববিদ্যালয় এবং লোকাল লেভেল: বড় টুর্নামেন্টের বাইরেও, স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গেমিং ক্লাব এবং ছোট-বড় প্রতিষ্ঠান নিয়মিত টুর্নামেন্টের আয়োজন করে।
- এগুলোর প্রাইজ মানি স্থানীয় প্রেক্ষাপটে বিপুল পরিমাণ হয়। এই প্রতিযোগিতাগুলো নতুন খেলোয়াড়দের জন্য আয়ের পাশাপাশি নিজেদের দক্ষতা প্রমাণের দারুণ সুযোগ তৈরি করে।
ইউসি (UC) ব্যবসা করে পগারপার : সোনার খনি মামা !
- ইউসি-এর উচ্চ মূল্য: পাবজি-এর ইন-গেম কারেন্সি ইউসি (UC – Unknown Cash)-এর দাম ফ্রি ফায়ারের ডায়মন্ডের মতোই যথেষ্ট প্রিমিয়াম এবং দামি।
- খেলোয়াড়রা এই ইউসি ব্যবহার করে রয়্যাল পাস, স্কিন, এবং অন্যান্য কসমেটিক আইটেম কিনে থাকে ।
- বিশাল এক মার্কেট: ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন অফার দিয়ে এই ইউসি টপ-আপের ব্যবসা করেন।
- জানা যায়, শুধুমাত্র পাবজি-এর ইন-অ্যাপ পারচেজ থেকে বাংলাদেশে মাসে ৭০ থেকে ৯০ কোটি টাকার মতো লেনদেন হয়।
- এই বিশাল বাজারের একটি বড় অংশই কিন্তু ইউসি বিক্রেতা বা মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে যায়, যা তাদের জন্য বিপুল আয়ের পথ তৈরি করে।
২) Arena Of Valor , কম সময়ে বেশি টাকা কোন গেম খেলে ইনকাম করা যায়।
যদি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা বলি। তাহলে বলব Arena Of Valor সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট ও কনটেস্ট নিয়ে এসেছে এযাবৎকালে। এই বছর এবং পূর্বের বছরে সবচেয়ে বড় বড় কন্টেস্ট যায় এ গেম হতে।
এই গেম সম্পর্কে হয়তো আমরা বাংলাদেশীরা খুব বেশি অবগত নই। কোন গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায় তাই হয়তো ধারণা এ বিষয়ে অস্পষ্ট।
কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই গেমটিতে বাংলাদেশের ইউজারের সংখ্যা কম থাকা সত্ত্বেও, এই গেমের কনটেস্ট ২য় উইনার হয়েছে বাংলাদেশের একটি টিম।
যে সমস্ত প্রফেশনাল গেমাররা আছেন, তারা চাইলে এই সমস্ত গেমে ট্রাই করতে পারেন। কারণ এতে কম সময়ে সবচেয়ে বেশি ইনকাম করা যাবে।
এ গেমের যে কোন একটা কনটেস্ট জিতলে ই ৬০ লক্ষ টাকার প্রাইজ মানি পাওয়া যায়।
Arena of Valor (AoV): আয়ের আরেক নতুন দরজা, কোন গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায়।
- বিশাল অর্থের ছড়াছড়ি : একটি টুর্নামেন্ট জিতলেই ৬০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রাইজ মানি পাওয়া যেতে পারে। এই প্রাইজ মানির অঙ্ক বাংলাদেশের স্থানীয় টুর্নামেন্ট বা অন্যান্য মোবাইল গেমের প্রাইজ পুলের তুলনায় বিশাল।
বাংলাদেশের চমক: কম হলেও, কোন গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায় তা স্পষ্ট
- অল্প ইউজার, বড় অর্জন: সবচেয়ে অবাক করা এবং অনুপ্রেরণাদায়ক বিষয়টি হলো, যেখানে বাংলাদেশে ইউজার সংখ্যা ফ্রি ফায়ার বা পাবজির তুলনায় কম,
- সেখানে একটি বাংলাদেশি দলের দ্বিতীয় স্থান অর্জন করাটা তাদের দক্ষতার এক বিশাল প্রমাণ। এর মানে হলো, বাংলাদেশে এই গেমের প্রতিযোগিতা এখনও তুলনামূলকভাবে কম, কিন্তু প্লেয়ারদের মান খুবই উচ্চ।
- সুযোগসন্ধানী গেমারদের জন্য বার্তা: আপনার পরামর্শটি খুবই বাস্তবসম্মত।
- যে সমস্ত পেশাদার গেমার আছেন এবং যারা কম প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়ে দ্রুত বড় অঙ্কের অর্থ উপার্জন করতে চান, তাদের জন্য একটি স্বর্ণালী সুযোগ।
- কম সময়ে বেশি আয়ের জন্য এটি আদর্শ, কারণ এখানে তুলনামূলকভাবে কম সংখ্যক দল আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য লড়াই করে।
ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ: কোন গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায়
যেহেতু গেমটি বাংলাদেশে এখনও নতুন, তাই এই মুহূর্তে যারা এতে দক্ষতা অর্জন করবেন, তারা আগামীতে যখন গেমটির জনপ্রিয়তা বাড়বে,
তখন খুব সহজেই সেরা দলগুলোতে নিজেদের স্থান করে নিতে পারবেন। এটি কেবল অর্থ উপার্জনের পথ নয়, বরং আন্তর্জাতিক গেমিং অঙ্গনে বাংলাদেশের পতাকা তুলে ধরারও একটি সুযোগ।
৩) ফ্রি ফায়ার: বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা ও বিশাল অডিয়েন্স
ফ্রী ফায়ার বাংলাদেশের একটি মাল্টিপ্লেয়ার ব্যাটেলিয়ান গেম। এটি হচ্ছে বর্তমান পুরো পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন গেম। কোন গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায় জেনে নিন।
আপনি জানলে অবাক হবেন, প্লেস্টোরে এই গেমসটি বর্তমান ডাউনলোডস প্রায় 1 বিলিয়ন।
কাজেই অডিয়েন্সের সংখ্যা অনেক বেশি। এর জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে নয়, বরং দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি বাংলাদেশে এ গেমের ইউজার, ব্যবহার ও গেমের খেলোয়াড় এত বেশি যে;
ফ্রী ফায়ারে বাংলাদেশের নিজস্ব সার্ভার আছে। ফ্রী ফায়ার গেম খেলে সবচেয়ে বড় ইউটিউবার রয়েছেন ভারতের Total Gaming। গেম খেলে সহজেই প্রতিদিন 60 থেকে 200 ডলার আয় করা সম্ভব
ফ্রি ফায়ার থেকে উপার্জনের প্রধান ক্ষেত্রসমূহ
ভারতীয় সকল ইউটিউব চ্যানেল ছাড়াও বিভিন্ন বৈদেশিক বড় বড় ইউটিউব চ্যানেল আছে। তাছাড়া ফ্রী ফায়ার এ ডায়মন্ড টপ আপ নিয়ে বড় বড় ওয়েবসাইট তৈরি হয়েছে।
তার মধ্যে Free Fire BD নামক বাংলাদেশী ওয়েবসাইট আছে। যেখানে ডায়মন্ড টপ আপ দেয়া হয়। তাছাড়া কোডা শপ ডায়মন্ড টপ আপ সেন্টার।
ফ্রিফায়ার ডায়মন্ড টপ আপ থেকে কোডাশপ প্রায় 15% উপার্জন নেয়।
এছাড়া ফ্রী ফায়ারে ডায়মন্ড টপ আপ নিয়ে কিছু কিছু ফেসবুক পেজ মাসিক হাজার হাজার, এমনমি লাখ লাখ টাকা উপার্জন করছে।
সঠিক হিসাব দিতে গেলে, সবচেয়ে কম সময়ে বেশি টাকা ইনকাম হচ্ছে ফ্রি ফায়ার থেকে।
তার কারণ, ফ্রি ফায়ার গেমকে নিয়ে বিভিন্ন বিজনেস, কনটেস্ট, টুর্নামেন্ট বাংলাদেশে প্রচুর দেখা যায়।
তাছাড়া মানুষ নিজেরা বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে যেমনঃ খেলাঘর এখানে প্রতিনিয়ত টুর্নামেন্ট জিতে আয় করছে। কাজেই বাংলাদেশের প্রতিনিয়ত সবচেয়ে বেশি উপার্জন ফ্রী ফায়ার গেম থেকেই আসে।
আবার সে অনুপাতে এ গেমের পিছনে ব্যয়ও হয় বেশি।কোন গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায় সেটা সেখানে জানতে চাওয়া হয়।
এ গেমে ডায়মন্ড সেল করার ব্যবসায় ইনকাম হয়। গেমের আইডি কেনা-বেচাও তো চলে। পাশাপাশি এককভাবে টুর্নামেন্ট খেলে ইনকাম হয়।
এ গেমের স্ট্রিমার ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা ফেসবুক, ইউটিউবে, স্ট্রিমিং সাইটে খুব ভালো আয় করে।
৪। মোবাইল লিজেন্ডস।
এই ভিডিও গেমটি বাংলাদেশের খুব বেশি জনপ্রিয় নয়। তবে বর্তমানে ট্রেন্ডিংয়ে এসেছে। অর্থাৎ অনেকেই গেমটি খেলতে অনেক পছন্দ করে।
তো মোবাইল লিজেন্ড এ ডায়াস ব্যবসা খুবই প্রিমিয়াম। এখানে গেমের ডায়াসের দাম যথেষ্ট বেশি। এবং যারা ব্যবসা করে তারা ভালোই ইনকাম করা।
মোবাইল লিজেন্ডস হচ্ছে একটি MOBA অর্থাৎ মাল্টিপ্লেয়ার অনলাইন ব্যাটেল অব আরিনা। অর্থাৎ আরিনা অব ভ্যালর, অথবা পিসির লীগ অব লিজেন্ডস এর কপি।
ডায়মন্ডস: উচ্চ মূল্যের, উচ্চ আয়ের সুযোগ
- ডায়াস/ডায়মন্ডসের ব্যবসা: In this game, ডায়মন্ডসের দাম তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি প্রিমিয়াম। এর ফলে যারা ডায়মন্ড টপ-আপের ব্যবসা করছেন, তাদের আয়ও বেশ ভালো।
- কারণ, এই ডায়মন্ডগুলো ব্যবহার করে গেমাররা নতুন “হিরোস” আনলক করে, বিশেষ “স্কিনস” কেনে এবং স্টারলাইট মেম্বারশিপ (Starlight Membership) বা এক্সক্লুসিভ ইভেন্টগুলোতে অংশ নিতে পারে।
- ব্যবসায়িক সম্ভাবনা: যেহেতু ডায়মন্ডের দাম বেশি এবং গেমটি জনপ্রিয় হচ্ছে, তাই ডায়মন্ড বিক্রির ব্যবসায় উপার্জনের মার্জিনও বেশ লোভনীয়।
- এখানে কোন গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায় জানতে পারবেন।
- কোডাশপ (Codashop)-এর মতো প্ল্যাটফর্ম থেকে শুরু করে স্থানীয় ছোট বিক্রেতারাও এখানে ভালো ব্যবসা করছেন।
আরো পড়ুন :
- টাকা ইনকাম করা গেম পেমেন্ট বিকাশ বাংলাদেশ।
- ঘরে বসে মোবাইল গেম খেলে টাকা ইনকাম: বিস্তারিত A to Z গাইড
- বাংলাদেশে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ।
- ফ্রি লটারী খেলে টাকা ইনকাম পেমেন্ট নিন বিকাশে
পরিশেষে, যেভাবে বুঝবেন কোন গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায়।
আজকে আমরা জানলাম সবচেয়ে কম সময়ে বেশি টাকা কোন গেম খেলে ইনকাম করা যায়। যার মধ্যে কিছু বাংলাদেশে বিপুল জনপ্রিয় এমন সব গেম নিয়ে আলোচনা করেছি।
তবে এ সমস্ত গেমের বেশিরভাগই হল বিদেশি কোম্পানির। যত বেশি আয় হয়, তার দ্বিগুণ বা তার চেয়ে দশ গুণ বেশি ব্যয়ও হয় কিছু কিছু গেমে।
কাজেই নেট আয় বলতে আসলে কিছু নেই। আমাদের দেশেরই ক্ষতি হচ্ছে। কোন গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায় জেনে নিলাম আমরা।